মায়ানমারে ভারত, চীন, রাশিয়ার কিসের এত স্বার্থ জড়িত?

Russia and the West battle to get China and India on side in the war
28 September 2022
➤চীন
রাখাইন রাজ্যের কিয়াকপিউতে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হয়েছে। সেখানে তারা তেল শোধনাগার বানাচ্ছে। চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য এ বন্দর ও শোধনাগার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে চীন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মালাক্কা প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে তা ব্যবহার না করেই নিজেদের জ্বালানির সরবরাহ লাইন চালু রাখতে পারবে। এর মাধ্যমে তেল, গ্যাস, এলএনজি সবকিছুর সরবরাহই নিশ্চিত করা যাবে।
এখান থেকে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে সরাসরি রেললাইন থাকবে।
➤ভারত।
অন্যদিকে ভারত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত সিটওয়ে বন্দর পুনর্নির্মাণ করে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। এখান থেকে কালাদান মাল্টিমোডাল হাইওয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে। কালাদান সংযোগ হাইওয়ে ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
➤রাশিয়া।
রাশিয়ারও সেখানে অর্থনৈতিক বড় স্বার্থ রয়েছে। তারা রাখাইনে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে।
রাখাইন রাজ্য হল কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রবেশের পথ এটি। আবার চীনের বিআরআইয়ের ছয়টি করিডরের একটি এ রাজ্য দিয়েই যাবে। রাখাইন রাজ্য যেহেতু এ তিন দেশের জন্যই খুব আকর্ষণীয়, তাই সবার আগে এর কৌশলগত গুরুত্বের দিকটি বাংলাদেশকে বুঝতে হবে এবং এই দিক মাথায় রেখেই এগোতে হবে।
ছবিঃ- সদ্য ডেলিভারি পাওয়া বিভিন্ন আধুনিক সমরাস্ত্রের সাথে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি কারেন আর্মির সদস্য।