ব্রাজিলকে হারিয়ে যে রেকর্ড গড়ল ক্যামেরুন

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:১২
ব্রাজিলকে হারিয়ে যে রেকর্ড গড়ল ক্যামেরুন – ছবি : সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ চমক! গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচও অঘটন। কেউ কেউ বলছেন, এমনকি সবচেয়ে বড় অঘটনও বলা যায়। সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হারার চেয়েও বড় ঘটনা এটি! শুক্রবার দোহার লুসেইল স্টেডিয়ামে ক্যামেরুনের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে ব্রাজিল। ইনজুরি টাইমে ম্যাচের একমাত্র গোল ভিনসেন্ট আবুবাকরের। ডান দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে হেড করে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিলেন। আবুবাকর তৃতীয় আফ্রিকান ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোল করলেন। আর আফ্রিকার কোনো দেশ হিসেবে ব্রাজিলকে হারানোর রেকর্ড করল ক্যামেরুন।

তবে গোলের উচ্ছ্বাসে জার্সি খুলে দ্বিতীয় হলুদ অর্থাৎ লালকার্ড দেখলেন। অঘটনের তৃতীয় রাউন্ড। প্রথম দুই ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছিল তিতের দল। আশা ছিল কাতার বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে গ্রুপের তিনটি ম্যাচ জিতেই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে ব্রাজিল। কিন্তু ওই আশার গুড়ে বালি। উল্টা হেরে বসল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

দু’দিন আগের দেশঁ যেন শুক্রবারের তিতে। তিউনিশিয়া ম্যাচে দলে ৯টি পরিবর্তন করেছিলেন ফ্রান্সের কোচ কোচ দেশঁ। যার ফলে ফরাসিদের খেলায় জমাট ভাব ছিল না। হয়েছিল ছন্দপতনও। এদিনও যেন তারই পুনরাবৃত্তি। তবে একইসাথে একাধিক সুযোগ নষ্ট, ফিনিশিংয়ের অভাব ডুবিয়েছে ব্রাজিলকে। গ্যালারিতে বসে দলের হার দেখলেন নেইমার।

ভাগ্য ভালো যে প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে আগেই শেষ ষোলোয় চলে গিয়েছিল ব্রাজিল।

সেলেকাওদের সামনে গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখার লড়াই ছিল। কিন্তু এদিন দলে একাধিক পরিবর্তন করেন তিতে। একে তো শিবির চোট-আঘাতে জর্জরিত। তারও পর একাধিক ফুটবলার ফ্লুতে ভুগছে। তাই কোনো ঝুঁকি নেননি প্রফেসর। তবে ফরমেশন একই রাখেন। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলে ব্রাজিল। ১১ মিনিটে প্রথম সুযোগ। কিন্তু দলকে এগিয়ে দিতে পারেননি মার্টিনেল্লি। তার তিন মিনিট পরই ফ্রেডের ক্রস থেকে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের হেড বাঁচিয়ে দেন ক্যামেরুন গোলকিপার এপাসি। বেশ কয়েকবার বিপক্ষের বক্সে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবুবাকর। বিরতির ঠিক আগে গোল পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু মিস করেন ক্যামেরুনের তারকা ফুটবলার।

দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল রক্ষণে চাপ বাড়ায় ক্যামেরুন। যাবতীয় আক্রমণের পেছনে অবুবাকার। তবে তার চারগুণ বেশি আক্রমণ ছিল ব্রাজিলের। গোল লক্ষ্য করে ২০টি শট মারে সেলেকাওরা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব। একের পর এক মিস করে গেলেন মার্টিনেল্লি, অ্যান্টনি, রদ্রিগোরা।‌ যার ফলে নিজেরাই ক্যামেরুনকে ইতিহাস লেখার সুযোগ করে দেয়। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে মার্টিনেল্লির দূরপাল্লার শট বাঁচায় এপাসি। এরপরও অন্তত ৪-৫ টে নিশ্চিত সুযোগ এসেছিল। কিন্তু গোলের দেখা নেই। ফাঁকতালে সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয়সূচক গোল করেন আবুবাকর।

প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে হারানোর নজির গড়ল ক্যামেরন। যদিও তার প্রভাব গ্রুপের টেবিলে পড়েনি। প্রথম দল হিসেবেই শেষ ষোলোয় ব্রাজিল। দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফাই করল সুইজারল্যান্ড।