ফেনীতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী

Daily Nayadiganta

সেলুন কর্মচারী ও রিকশাচালক গ্রেফতার


ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বান্ধবীর কাছে বেড়াতে এসে দুই বখাটের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে উপজাতি এক তরুণী। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায়। এ ঘটনায় এক সেলুন দোকান কর্মচারী ও এক রিকশাচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের বোনের বাসা থেকে রোববার রাতে ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকা নন্দিনি নামের এক বান্ধবীর কাছে বেড়াতে আসে ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। রাত ১১টার দিকে মহিপালে বাস থেকে নেমে রিকশায় ওঠে। রিকশাচালক মো: রিয়াদ তাকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে রাত ২টার দিকে শহরের দেওয়ানগঞ্জ মুক্তার বাড়ি সংলগ্ন ডেকোরেশন দোকানের সামনে একটি গাছের সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন কাঠবেল্লা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে রিকশাচালক চলে যায়।

রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে আসা সেলুন দোকান কর্মচারী ছোটন শীল তার বান্ধবীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে হেঁটে দেওয়ানগঞ্জের অদূরে ফতেহপুর যাওয়ার সড়কের কালভার্টের একটি দোকান ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ শেষে বিসিক সড়কের দিকে চলে যায়।

গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত এএসআই ফিরোজ আহমেদ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নির্যাতিতা তাকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে ছোটন শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিশোরীর দেয়া তথ্যমতে রিকশাচালককেও আটক করা হয়।

ছোটন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার ধর্মপুর এলাকার সমীর শীলের ছেলে ও শহরের হাজারী রোডের একটি সেলুন দোকানে চাকরি করে। আর রিকশাচালক রিয়াদ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার মো: সাদেকের ছেলে।

ফেনী মডেল থানার এএসআই ফিরোজ জানান, নির্যাতিতা তরুণীর দেয়া তথ্যমতে আবুল খায়ের ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে নন্দিনি নামের এমন কোনো বান্ধবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ফেনী মডেল থানার ওসি (অপারেশন) আদিল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন তরুণী ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।