প্রসঙ্গ কানাডা : তেঁতুলের বিপ্রতীপ তত্ত্ব এবং আদালতের রায়

প্রসঙ্গ কানাডা : তেঁতুলের বিপ্রতীপ তত্ত্ব এবং আদালতের রায়

তেঁতুল তত্ত্ব নিয়ে এদেশে অনেক হৈ চৈ হয়েছে । এই তত্ত্বটি প্রচার ও প্রসারে মাওলানা শফি এবং কমরেড ইনু – দুজনেরই সমান অবদান রয়েছে । এই তত্ত্বের বদৌলতে তেঁতুল শব্দটি স্ত্রী লিঙ্গের হিসাবেই ধারণা তৈরি হয়েছিল । কিন্তু মার্কিন ফার্ষ্ট ডটার ইভানকা ট্রাম্প প্রমাণ করেছেন যে তেঁতুল তত্ত্ব উভয়লিঙ্গের বেলায় প্রযোজ্য । তিনি কানাডার সুদর্শন প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডোর দিকে যে ভঙ্গিতে তাকিয়েছিলেন তা দেখে একজন মন্তব্য করেছেন , Evanka looked at Trudo the way I looked at pizza . অর্থাৎ কারো কাছে তেঁতুল , কারো কাছে পিজ্জা । কাজেই শুধু তেঁতুল তত্ত্বই নয় – এর বিপ্রতীপ তত্ত্বও সঠিক । সুন্দর পুরুষ দেখলে তেঁতুলের মুখেও লালা আসতে পারে । এটাকে ড্রাই টেষ্টও বলা যায় ।

ট্রাম্প কন্যা ইভানকা যখন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দিকে এই ঐতিহাসিক দৃষ্টিটি হেনেছেন তখন এদেশের মানুষের দৃষ্টি পডেছে কানাডার আদালতের একটি রায়ের উপর ।
নির্বাচন কমিশনারদের গোপাল বলে ডাকাতেই পাঁচশ কোটি টাকার মান হানি মামলা হয়েছে কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক এত বড় মানহানি নিয়ে সরকারের কোনও গুণগ্রাহী এখনও মামলা করছে না – সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে !

বিদেশী একটি পত্রিকা প্রশ্ন তুলেছে , কানাডার আদালত কি সত্যিই বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দিয়েছে ? এই কিছিমের একটা প্রশ্ন করায় আমাকেও প্রচুর গালমন্দ শুনতে হয়েছে । জানি না সেই বন্ধুরা নিম্নের এই প্রশ্নটিকে কীভাবে সামাল দিবেন ?

https://thewire.in/…/did-a-canada-court-really-clear-bangl…/

সেল্ফ সেন্সরশিপে আক্রান্ত অথবা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় নিজেরাই নিজেদের প্রশংসা করলে মানুষের সন্দেহ বেড়ে যায় । প্রকাশ্যে ৭০ লাখ টাকার ছালা নিয়ে ধরা পড়ার পরেও একজনকে অনেকদিন উজিরে খামাখা করে রাখা হয়েছিল । কাজেই অন্য জনকে কিছু না পেয়েই খামাখা মন্ত্রীত্ব খাওয়া হয়েছিল – এই কথা বিশ্বাসযাগ্য হবে না । পদ্মা সেতু নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী কেন তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা মাত্র সাতজন বলে সংসদ ও দেশকে জানিয়েছিলেন – সেটা নিয়েও একটু ভাবা দরকার ।
মানুষের হারানো বিশ্বাস ফিরে পেতে হলে একটি কাজ করতে হবে । বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মানহানির মামলা করতে হবে । হিলারী , ডক্টর ইউনূস এবং আরো যাকে যাকে সন্দেহ হয় , তাদের সবাইকে আসামী করতে হবে ।
এমতাবস্থায় বিএনপির উচিত হবে আওয়ামীলীগকে এই ব্যাপারে একটা মানহানি মামলা করার পরামর্শ দেয়া ।

1 COMMENT

  1. Based on facts. Thank you. Hillary and Yunus had nothing to do with it.

    Most of the fabrications were done by Sajib Wajed Joy.

Comments are closed.