প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণে চেয়ারম্যানের ট্যাক্স

বাংলাদেশে ত্রাণের টাকা, চাল-গম, টিসিবির পণ্য, রেশনের মাল লুটপাটের কাহিনী দীর্ঘ। একেবারে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এ কালচার চলে আসছে। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই চুরির ঘটনা নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শুধু তথাকথিত ছিঁচকে গণপ্রতিনিধিরাই যে চুরি করছে এমন নয়। সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট বা সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের বিত্তবানরা নানা কৌশলে লুটে নিচ্ছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। এরা ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে ফেলেছেন। বিপুল অঙ্কের টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে এরা বিদেশে পাচার করেছেন। বালিশ কিনতে, পর্দা কিনতে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি ও আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু কারো তেমন কোনো কঠিন সাজা হয়েছে এমন শোনা যায় না। দুর্নীতিবাজ পুলিশকে যেমন ‘প্রত্যাহার’ করা হয়, এই শ্রেণীর লোকদের তেমনি দায়িত্ব থেকে ‘সাময়িকভাবে অব্যাহতি’ দেয়া হয়। তারপর কার তদবিরে, কোন ফাঁকে তারা আবার অন্য কোনোখানে একই রকম দায়িত্বে ফিরে আসেন, সেটি কেউ জানতেও পারেন না। এমনি এক চোরের খেলা চলছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে দুর্যোগের অভাব নেই। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, মারী-মহামারী কী নেই বাংলাদেশে। এগুলো আমাদের ফি-বছরের সমস্যা। এ রকম সমস্যা সৃষ্টি হলে কখনো কখনো সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে দান-খয়রাতের ব্যবস্থা করা হয়। সরকারের মদদপুষ্ট বা সহযোগীরা যেন এ রকম পরিস্থিতির জন্যই দ্রুত ওঁৎ পেতে থাকেন; কখন দুর্যোগ আসবে, কখন আসবে সরকারের খয়রাতি সাহায্য। আর দুস্থ মানুষের হক কিভাবে মেরে খাওয়া যাবে- তার ছক কষে ফেলে এই দুর্বৃত্তরা। তারা ত্রাণের পণ্য ওজনে কম দেন, ত্রাণ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে অর্থ নেন, কারো কারো নাম বাদ দিয়ে দেন। কাগজের পাতা ভর্তি করে নিজের আত্মীয়-স্বজনের নাম লেখান। যাতে দেখা যায়, যে ত্রাণ নেয়ার উপযুক্ত তার নামে ত্রাণ উঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হয়তো তার খবরও রাখেন না।

সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে কথা দিয়েছিল, তারা সাধারণ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবে। সে কথা রাখার জন্য সরকার ট্রাকে করে দুস্থ মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির আয়োজন করেছিল। আর এই চাল বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই। তার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছিল। টনে টনে ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাওয়া যাচ্ছিল আওয়ামী লীগের ছিঁচকে ও মাঝারি ধরনের নেতাদের বাসায়। চালের জন্য দরিদ্র মানুষ সারা দিন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেও ট্রাকের দেখা পায়নি। পরে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, সরকার চাল বিক্রির সে উদ্যোগই বন্ধ করে দেয়। চোরের ডরে মাটিতে ভাত খাওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু আশ্চর্য ঘটনা এই যে, যাদের বাড়ি বা গুদাম থেকে টন টন চাল পাওয়া গেল, তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো না। না হয় কোনো আওয়ামী লীগার দু-এক টন চাল চুরিই করেছে, তার জন্য শাস্তি দিতে হবে কেন?

শুধু ১০ টাকা কেজি দলের চালই নয়, টিসিবির পণ্য নিয়েও এমন হরিলুট হয়েছে। এসব পণ্যের ডিলারশিপ দেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগারদেরই। মানুষ টিসিবির তুলনামূলক কম দামের পণ্য কেনার জন্য দিনভর লাইন দিয়ে থেকেছে। সকাল ১০টায় টিসিবির পণ্যের যে গাড়ি আসার কথা বিকেল পর্যন্তও তা আসেনি। আর ওখানে লক্ষণীয় যে, টিসিবির লাইনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরাও। যারা সচরাচর খোলাবাজার থেকেই এসব পণ্য কেনেন। টিসিবি ন্যায্য দামে বিক্রি করত চাল ডাল তেল চিনি। কখনো কখনো পেঁয়াজ। কিন্তু সেসব পর্যাপ্ত কখনোই থাকত না টিসিবির ট্রাকে। আগেই চোরেরা উধাও করে দিতো সেসব মাল। টিসিবির পণ্য পাওয়া যেতে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতা ও তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের বাসভবনে, গুদামে, খাটের নিচে। তারা সয়াবিন তেলের বোতল থেকে তেল ড্রামে ঢেলে রেখে খালি বোতলগুলো ভাসিয়ে দিয়েছে নদীতে। এ ক্ষেত্রেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তেমন একটা চোখে পড়েনি।

কখনো কখনো কাউকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’র খবর পেয়েছি। সে বরখাস্ত ইতোমধ্যে উঠে গেছে কি না, তা বলতে পারি না। সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো, একদিন লক্ষ করলাম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝারি গোছের এক আমলা (সম্ভবত) তোতাপাখির মতো এক বিবরণ পড়ছেন। তিনি বলছেন যে, দেশে ৬২ হাজারেরও বেশি জনপ্রতিনিধি রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়-সাতজন দুর্র্নীতি করলে গোটা জনপ্রতিনিধিদের ‘চোর’ বলা ঠিক নয়। তিনি যথার্থই বলেছেন। কিন্তু লক্ষ করলাম, এর দু-একদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজেও একই ভাষায় ‘চোর’দের বিষয়টি হালকাভাবেই নিলেন। তার পরিণতি যা হওয়ার তাই হয়েছে। আশকারা পেয়ে ত্রাণ চোরেরা একেবারে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে চুরির কাজে। এ পর্যন্ত সরকার ৭২ জন তথাকথিত জনপ্রতিনিধিকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করতে বাধ্য হয়েছে।

দেশে এখন করোনাভাইরাসের মহামারী চলছে। সারা দেশে চলছিল লকডাউন পরিস্থিতি। তাতে কাজ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। চরম দরিদ্রের কাতারে নেমে এসেছেন দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ। ছিন্নমূল, হকার, মুটে-মজুর, ক্ষুদ্র দোকানদার, দোকান কর্মচারী, গৃহকর্মী, রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক এরা পথে বসেছেন। রুটি রুজির পথ বন্ধ। সরকার তাদের সোয়া কোটি লোককে ত্রাণ সাহায্য করছে তালিকা করে। তার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ লোকের একটি তালিকা করা হয়। সে তালিকা নিয়েও চলল তেলেসমাতি কারবার। ত্রাণমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন, এই ৫০ লাখ লোককে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া হবে ঈদ উপলক্ষে। সে তালিকা তৈরির জন্য যে কমিটি করা হলো, তার নেতৃত্বে থাকলেন আওয়ামী লীগের তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরাই। আর সময় কোথায়। তারা লুটের নতুন নতুন ফন্দি বের করতে শুরু করে দিলো। আর ৫০ লাখ লোকের যে তালিকা করা হলো, তাতে দেখা গেল তার মধ্যে আট লাখ লোকই ভুয়া। ৫০ লাখ লোকের মধ্যে আট লাখ আছে একই মোবাইল নম্বরে যা একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের তরফ থেকে যে টাকা দেয়া হবে, তা পাঠানো হবে ওই টেলিফোন নম্বরের অ্যাকাউন্টে। আওয়ামী লীগের তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরা আট লাখ নামের পাশে নিজেদের মোবাইল নম্বর বসিয়ে দিয়েছেন। যাতে সরকার টাকা পাঠালে টাকাটা তাদের অ্যাকাউন্টেই চলে আসে। কিন্তু ঘটনাটা ফাঁস হওয়ার পর সরকারের তরফে দ্রুত একটা সাফাই তৈরি করা হয়। তাতে বলা হয়, অনেক গরিব মানুষের বিকাশ নম্বর না থাকায় একই নম্বর বহু মানুষ ব্যবহার করেছে। এ কথা বলেছেন স্বয়ং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে আট লাখের বেশি নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে (১৭-২৩) তাদের তালিকা পর্যালোচনা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা পাঠানো হবে।

সরকারের এ রকম বক্তব্যে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, সরকার কিছু একটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই তালিকা তৈরিতে কোনো দুর্নীতি রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এখানেও যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব বলেছেন, একই মোবাইল নম্বরে অনেক নাম কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। বাস্তবিক পক্ষে যাদের মোবাইল নম্বর নেই, তাদের নামের পাশে এভাবেই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়। আর যেসব ক্ষেত্রে একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো ইতোমধ্যে বাদ দেয়া হয়েছে।

এই নাম অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে আরো একটি ব্যাপার লক্ষণীয় ছিল যে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ব্যাপকভাবে এতে তাদের আত্মীয়-স্বজনের নাম বসিয়ে দিয়েছেন। পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায়, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সরকারপক্ষের যুক্তি অত্যন্ত খোঁড়া। আবার ত্রাণ পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিরা যখন অভিযোগ করতে শুরু করেন যে, তারা ত্রাণ পাচ্ছেন না, আর ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে শুরু করল, তখন প্রধানমন্ত্রীর অফিস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে একটি ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশ দেয়। পরে দুই সপ্তাহ ধরে ওই ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। তবে ঢাকার অনেক দরিদ্র পরিবার নিউএজ পত্রিকাকে জানায়, তারা প্রধানমন্ত্রীর এই ত্রাণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে সচিব বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সুপারিশে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, সরকারি টাকা দরিদ্রদের মধ্যে যথাযথভাবে বিতরণ না হলে, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে সব রাজনৈতিক দলের সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করে তার মাধ্যমে এই ত্রাণ বিতরণ করা দরকার। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, সরকার দলের সদস্যদের ত্রাণ আত্মসাৎ বন্ধ করার এখনই সময়।
তবে আওয়ামী চোর-বাটপার ও লুটেরাদের বুদ্ধির অন্ত নেই। বগুড়া থেকে পাওয়া গেল ভিন্ন ধরনের আরেক খবর।

সেখানকার শিবগঞ্জের ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রূপম প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের ওপর অভিনব কায়দায় ট্যাক্স বসিয়েছেন। অসহায় দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেতে শিবগঞ্জের বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। গত ১৪ মে ইউনিয়নের দড়িহাটা বাজারের রাহী টেলিকমে ওই ঘটনা ঘটে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়ে টেলিকমের মালিক এরফান আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তারা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলাসহ প্রতিটি সিমকার্ড ২২০ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকি ২৮০ টাকা রসিদমূলে ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন কাউন্সিলের ট্যাক্স বাবদ আদায় করতে বলেছেন চেয়ারম্যান। তাই বিকাশ এজেন্ট সব মিলিয়ে সিমপ্রতি ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন। তবে অনেকেই অভিযোগ করছেন, তারা ২০০ টাকা দিয়ে শুধু সিমকার্ড কিনতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাদের তা দেয়া হয়নি।

চেয়ারম্যান রূপম বলেছেন, অনেক দিন ধরে ইউনিয়নের ট্যাক্স বাকি ছিল, তাই তিনি এই পদ্ধতিতে ট্যাক্স আদায় করার পথ বেছে নেন। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এ-ব্যস্ত ও-ব্যস্ত অজুহাতে তদন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। অবশ্য, খবরে বলা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে ওই টাকা নেয়া হয়েছিল, তাদের ১২০ জনকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১০ এপ্রিল ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে শিবগঞ্জের ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রূপমের ভাই মশিউর রহমানের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাল আত্মসাতের ঘটনা দেখে ফেলায় মশিউর রহমান এক মহিলা ইউপি সদস্য ও শাহজাহান নামের এক সংবাদকর্মীকে মারপিট করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

কথায় আছে, লোকে কলাগাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হয়। যদি ১০ টাকা কেজি দরের চাল তসরুফের সময়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত তবে সে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণে ট্যাক্স বসাতে পারত না। দেশে এভাবে আর কত ডাকাত পয়দা হবে!

লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক