প্রতিবেশির ধ্বংস চাই না , সুমতি চাই

প্রতিবেশির ধ্বংস চাই না , সুমতি চাই
================

তিস্তা চুক্তির প্রতি আশাবাদ রেখেই প্রতিরক্ষা চুক্তিটি হয়ে গেল !
অর্থাৎ “আরেকবার আসিলে আস্ত ডিমের পুরো অমলেটটিই খেয়ে যেতে হবে” এই আশ্বাসেই নিজের চৌদ্দ আনার পুরা কবুতরটাই দিয়ে এসেছেন ।
এখন সবাই তাকিয়ে আছেন বিএনপির দিকে । ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা মানুষকে বলেছিল , দেশ বাঁচান , মানুষ বাঁচান । এখন জনগণ তাদের উদ্দেশ্যে বলছে , দেশ বাঁচান , মানুষ বাঁচান । ইন্ডিয়া লেন্দুপ দর্জি চিনেছে , আমরা চিনি নাই ।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ট্যাংক ড্যান্সার হিসাবে পরিচিত হাসানুল হক ইনু । তিনি বিএনপির প্রতি একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন , বিএনপি ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, কোন চুক্তিটি বাংলদেশের স্বার্থের বাইরে, বিএনপি তা প্রমাণ করুক।
ইনুর এই চ্যালেন্জটি হয়েছে সেই কুমারীর চ্যালেন্জের মত । কুমারী সাত মাসের পোয়াতি । কিন্তু দুষ্টু লোকদের প্রতি তার চ্যালেন্জ , সে যে সতী না তা এই খবিশ সমালোচকগণ প্রমাণ করুক । তার ও তার মায়ের কথা , পেটে বদ বাতাস ঢুকেছে ।

এই বিষয়টি কখনই প্রমাণ করা যায় না । আর এই কুমারীর ভাইবেরাদর যদি হয় পাড়ার গুন্ডা , মাস্তান তখন তা প্রমাণ করা আরো জটিল হয়ে পড়ে ।

ইনুরা তাদের রাজনৈতিক , প্রশাসনিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মাস্তানির মাধ্যমে ষোল কোটি মানুষকে বেঁধে ফেলেছে । সাত মাসের পেট দৃশ্যমান হলেও এখন তাদেরকে সতী বলে ডাকতে হবে । বিশ্বাস করতে হবে যে পেটে বদ বাতাস ঢুকেছে ।
তবে যে জায়গায় এই ইনুরা এখনও অসহায় , সেটা হলো মানুষের মন বা চিন্তার জগত । । ষোল কোটি মানুষের অধিকাংশের ধারণা , এই ধরণের গোপন ও প্রকাশ্য চুক্তির মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে ।
এই সব চুক্তির মাঝে সাত মাসের স্ফীত উদরটি এই ইনুরা কখনই দেখতে পাবে না । এমতাবস্থায় বেচারা বিএনপি কীভাবে দেখাবে ?
ভারতের কাছ থেকে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে সেই টাকায় আবার তার কাছ থেকেই অস্ত্র কেনা হবে !
এগুলি অস্ত্র হবে , নাকি স্ক্র্যাপের লোহালক্কর ?
এই অস্ত্র কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে ?
যেখানে তিন দিকে ভারত সেই ভারতের সাথেই প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রয়োজনটি কি ?
আমাদের জিও -পলিটিকেল আক্কেল কম হলেও ভারতবাসী কখনই তেমন বেআক্কেল নহে । তারা জানে , কখনও ব্যবহার হলে এই সব অস্ত্র কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে ? এমন কিছু দিবে না , যাতে নিজেদের বিপদ হয় । এই চার হাজার কোটি টাকার লোনে জাতিকে আবদ্ধ করা হচ্ছে কেন ?

তবে একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা যাবে না । এই শুভ বোধটি উদয় হতে হবে উভয়ের মনে । পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপনের মাধ্যমেই সম্পর্ক উন্নত করা সম্ভব । এর কোনও বিকল্প নেই ।
কেউ চিমটি দিলে একজন মানুষ ব্যাথা পায় । এটাই একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের প্রতিক্রিয়া । কিন্তু চিমটি খাওয়ার পরও যে ইনুরা ব্যথা পায় না -বরং পুলক অনুভব করে , Something wrong with them . এই লোকগুলি কখনই রাজনৈতিকভাবে কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে তাদের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করে না ।
চিমটি দিলে ব্যথা পাই , পুলক অনুভব করি না – এই কথাটি আমাদের প্রতিবেশীকে বুঝিয়ে বলতে হবে । এই সব ভাবনা থেকেই নিচের আর্টিকেলটি লিখেছি । People to People কন্টাক্ট সৃষ্টি করতে লেখাটি ছডিয়ে দিন । আমরা ভারতের ধ্বংস চাই না । তাদের নেতৃত্বের সুমতি ফিরে আসুক , সেটা কামনা করি ।
http://southasiajournal.net/headless-democracy-heartless-n…/

https://bangladeshchronicle.net/…/headless-democracy-heartl…/