জীবন বেঁচেছে ,কিন্তু ইজ্জতটা বাঁচবে তো ?

জীবন বেঁচেছে ,কিন্তু ইজ্জতটা বাঁচবে তো ?
===================

ইন্ডিয়ার স্বনামধন্য সাংবাদিক ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী কুলদীপ নায়ার বলেছেন , Most of the Bangladeshis feel suffocated অর্থাৎ অধিকাংশ বাংলাদেশীর এখন দম বন্ধ হয়ে আসছে । ইনি ইন্ডিয়ায় বসে যা উপলব্ধি করছেন , অনেক বাঘা বাঘা বুদ্ধিজীবী এদেশে বা এ সমাজে অবস্থান করেও সেটা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছেন ।
এই সকল বুদ্ধিজীবীদের বড় একটা অংশ ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত । পশ্চিমাদের এই ইসলামফোবিয়া বা বর্তমান রোগের অনেক আগেই এদেশে এই রোগটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল । ফরহাদ মজহার যখন বলতেন , There is no God – তখন উনি বিশাল বড় মাপের বুদ্ধিজীবী ছিলেন , মানবতাবাদী দার্শনিক ছিলেন । তার চরিত্র তখন ফুলের মত পবিত্র ছিল । তখন শত শত অর্চনা দেবি ফরহাদ মজহারকে সারাক্ষণ পুজো দিলেও মুন্নী সাহাদের কোনও প্রবলেম হতো না । ” প্লেয়ার বনাম প্লেয়ার ” শিরোনাম দিয়ে ফরহাদ মজহারের চরিত্র হননের নিমিত্তে এভাবে কোনও অনুষ্ঠান সাজাতেন না ।

কিন্তু যখনই বলা শুরু করলেন , Certainly there is a God – তখনই বুদ্ধিজীবী সার্কেলে ভূমিকম্প শুরু হলো । বুদ্ধিজীবীদের তালিকা থেকে তার নামটি রাতারাতি কাটা পড়ে গেল । এখন সক্রেটিস , প্লুটোর সঙ্গে তুলনা করা তো দূরের কথা -তার মাথায় সামান্য বুদ্ধি অবশিষ্ট আছে কি না সেটা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। মুন্নী সাহার আলোচনার সেটে এক জন ভুল করে ফরহাদ মজহারকে প্লুটো , সক্রেটিসদের সঙ্গে তুলনা করে ফেলেছিলেন । অন্যজন সাথে সাথেই এটার প্রতিবাদ করেন । বলাই বাহুল্য এটি ছিল মুন্নী সাহার উপস্থাপনায় ফরহাদ মজহারের চরিত্র হননের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান ।

এদের চোখে ফরহাদ মজহার এখন নারীমাংস খাদক , বাটপার, জোচ্চোর , হেফাজতি । যৌবন যার সংযমে কেটেছে বৃদ্ধ বয়সে এসে তিনি যৌনকাতর হয়ে পড়েছেন । সত্তর বছর বয়সে এসে তিনি তার এক দাসীকেও নাকি প্র্যাগনেন্ট বানিয়ে ফেলেছেন ! আল্লাহ খোদায় বিশ্বাস না থাকলেও এদের কেউ কেউ বলছেন , ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ ।

উল্লেখ্য , মানব মানবীর চরিত্রের পুতপবিত্রতা নিয়ে মাত্রাধিক স্পর্শকাতর এই শ্রেণীটির কাছে এখন এরশাদের চরিত্রও ফুলের মত পবিত্র হয়ে পড়েছে ।

ফরহাদ মজহারের অপহরণের পর এদের সেই বিদ্বেষ সকলমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে । ফরহাদ মজহারের জীবন তো রক্ষা পেয়েছে কিন্তু ইজ্জত কতটুকু রক্ষা পাবে , সেটাই এখন দেখার বিষয় । মুন্নী সাহারা গা ঝাড়া দিয়ে লেগে পড়েছেন । এবার অর্চনা দেবির কাহিনী প্রতিষ্ঠিত করে ছাড়বেন ই । কারণ রাষ্চ্রীয় এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমস্ত লজিস্টিক এখন মুন্নী সাহাদের হাতে । যেভাবে চান আজ সেভাবেই সবকিছু সাজাতে পারবেন । অডিও, ভিডিও , গোয়েন্দা রিপোর্ট যা দরকার সবই প্রস্তুত হয়ে পড়বে ।

ফলে ফরহাদ মজহারের জনৈকা দাসীর অস্তিত্বই শুধু আবিস্কৃত হয় নি । সেই দাসী যা যা দাবি করেছেন তার হুবহু ভিডিও প্রমাণ ও মিলে গেছে । অর্থাৎ মুন্নী সাহাদের কেল্লাহ এখন ফতেহ হয়ে পড়েছে ।
ইন্ডিয়ার টিভি চ্যানেলের বদৌলতে আমরা বিখ্যাত নায়ক নায়িকাদের লুক-এলাইক বা দেখতে অনেকটা একই রকম মানুষ দেখেছি । ফরহাদ মজহারের এরকম কাছাকাকাছি চেহারা বা বাহ্যিক গঠণের লুক এলাইক বের করা কঠিন কিছু নহে । বিশেষ করে একটু আবছা আবছা চেহারা দিয়ে বা দূর থেকে যে ভিডিওটি দেখানো হবে – তাকে তো সহজেই আসল ভিডিও বলে চালানো সম্ভব । এটা দেখেই আওয়ামী ভক্ত পাঠককুল ইউরেকা ইউরেকা বলা শুরু করেছে ।

এদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব কতটুকু চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে , তা বোঝা যায় ফরহাদ মজহারকে নিয়ে তথাকথিত এক ছড়াকারের একটি ছড়া দেখে । আমার মনে হয় ছড়া সাহিত্যের সবচেয়ে বড় কলংক হিসাবে চিহ্নিত হবে এই নোংরা ছড়াটি । যেখানে ফরহাদ মজহারকে অপমান করতে গিয়ে পুরো জাতিকেই অপমান করা হয়েছে । ফরহাদ মজহার সর্বদা লুঙ্গি পরেন । এটা তিনি করেন একটা জাতীয়তাবোধ এবং অহংবোধ থেকে । তার এই অহংবোধকে আঘাত ও ছোট করা মানে পুরো জাতির অহংবোধকে আঘাত করা । বঙ্গবন্ধুর লুঙ্গি পরা অনেক ছবি আছে , মাওলানা ভাসানী সহ অনেকেই লুঙ্গি পরে বিদেশে সফরে যেতেন । ফরহাদ মজহারের লুঙ্গি খুলে এই কুলাঙ্গাররা পুরো জাতিকেই নেংটা করে দিয়েছে ।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও এই শ্লোগানটি দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় । আজ ফরহাদ মজহারের মেয়ের চোখে যেন সারা জাতির চরম অসহায়ত্বটি ফুটে উঠেছে । বেগম জিয়ার সেই কথাটি দেশবাসী মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে – দেশ বাঁচাও , মানুষ বাঁচাও । মানুষের জীবন বাঁচাও , ইজ্জত বাঁচাও ।

জানি না ,
কে এখন এই জাতিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন ?
কোথা থেকে আসবেন ?

Image may contain: 1 person, closeup
 

 

2 COMMENTS

  1. Look around carefully look at the citizens of this golden land. All around ignorance hypocrisy selfishness nepotism will be strongly evident. No one can help this nation because the citizens are not willing to help each other and work for the common good.

  2. I agree. We deserve the garbage that is happening in our country. Bangladeshis are ass lickers. They kiss the asses of the rulers even before Pakistan was independent. We kissed the ass of Ayub Khan. Then we kissed Sheikh Mujib’s ass and now this model democrat; that is what she thinks she is. This country belongs to her as she falsely claims her father declared independence and most ass lickers believe she is right. They also believe the crap Hasina has been giving them. We cannot expect anything out of ass licking Bangladeshis.

    The whole world knows; and we believe the country does not have an elected parliament and yet, the assholes believe they have a legitimate Prime Minister. She is illegal and all idiots should come out of their homes and elect someone (other than another jerk – Khaleda Zia) else. We need a legal establishment running the parliament and not show off beauties who keep ponding their desks, how good the PM spoke.

    For all the crap that is happening, the Bangladeshis are to blame. Their balls are frozen and their women cannot have an orgasm.

Comments are closed.